আমাদের সঞ্চয়ের বেশির ভাগটাই আমরা করে থাকি ফিক্সড ডিপোজিট, রেকারিং ডিপোজিট, LIC তে। এগুলিতে বার্ষিক গড় আয় ৮–৯% এর কাছাকাছি। কিন্তু আমাদের দেশের মূল্যবৃদ্ধির হার বর্তমান বছরগুলিতে ৮% এর বেশি। ফলে বাস্তবিক ক্ষেত্রে আপনার সম্পদের পরিমাণ বাড়ছে মাত্র ০–১% এর মতো। ফলে বুঝতেই পারছেন আপনার সম্পদের পরিমাণ বাড়ছে খুব সামান্য। তাই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে আপনি গড়ে ১৪-১৫ শতাংশের বেশি আয় করতে পারেন। ফলে প্রকৃত অর্থেই আপনার সঞ্চয় সম্পদে পরিণত হবে। কারণ শেয়ারে আপনার লাভের পরিমাণ আগে থেকে নির্ধারণ করতে পারবেন না। একটি উদাহরণ : ১৯৯৩ সালে কেউ যদি দশ হাজার টাকা মূল্যের ইনফোসিস (Infosys) কোম্পানির শেয়ার কিনে থাকেন আজকে কুড়ি বছর পর তার বাজার মূল্য এক কোটি টাকার চাইতে অনেক বেশি। এই দীর্ঘমেয়াদি (এক বছরের বেশি) আয়ের ওপর আপনাকে কোন ট্যাক্সও দিতে হবে না।
এছাড়া আর দুটি বিনিয়োগে মাধ্যম হল সোনা ও জমি।
সোনা বিগত ১০ বছরে অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু বিনিয়োগ মাধ্যম হিসাবে এটি ততটা কার্যকর নয়। কারণ আপনি গয়না হিসেবে সোনা কিনলে তার দাম আপনি দোকানদারকে দেবেন, আপনি কিন্তু দোকানদারের কাছ থেকে ততটা পাবেন না। অন্তত কুড়ি শতাংশ কম পাবেন। জমি : জমিতে বিনিয়োগ করতে হলে আপনাকে অনেকটা টাকা একবারে বিনিয়োগ করতে হবে।
তাই সবদিক বিবেচনা করে আপার সঞ্চয়ের বেশ কিছুটা অংশ (মোটামুটি ৫০%) আপনি সরাসরি শেয়ার বাজারে বা মিউচ্যুাল ফান্ডে এক সঙ্গে বা প্রতিমাসে বিনিয়োগ করতে পারে। প্রতি মাসে বিনিয়োগ পদ্ধতির নাম SIP. এই পদ্ধতিটি অনেক কম ঝুকিপূর্ণ এবং সম্পদ তৈরীর ক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর।
No comments:
Post a Comment