শেয়ার কিনে লাভ করতে হলে :
১) আপনাকে ভালো কম্পানীর শেয়ার নির্বাচন করতে হবে।
ভালো কোম্পানি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার চারপাশের পরিচিত ব্যবসায়িক ক্ষেত্রটির দিকে নজর দিতে হবে। যেমন সিমেন্ট কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে নির্বাচন করুন, আপনি বাড়ি তৈরীতে কোন কোম্পানির সিমেন্ট ব্যবহার করতে চান। বা কোন কোম্পানীর রড ব্যবহার করতে চান। ব্যাঙ্কের শেয়ারের ক্ষেত্রে কোন সরকারী এবং কোন বেসরকারী ব্যাঙ্কের পরিষেবা সবচাইতে ভালো।
২) শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে সময়জ্ঞান থাকাটা খুব জরুরী।
ভালো শেয়ার সঠিক সময়ে কিনতে হবে। কারণ অসময়ে ভাল শেয়ার কিনলেও আপনাকে লোকসানের মুখে পরতে হতে পারে বা আপনাকে লাভের মুখ দেখতে অনেক বেশি সময় লাগবে। যেমন শীতের ফুল গরমে আপনি অতি যত্নে লাগালেও তাতে যেমন ফুল হবে না, ব্যাপারটি ঠিক সেরকমই। Timing খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৩) শেয়ার কিনতে হবে মাঝারি বা দীর্ঘ সময়ের জন্য। স্বল্প সময়ের জন্য শেয়ার কেনা ঝুকিপূর্ণ । কারণ বাজারের ওঠানামা সাময়িক ভাবে আপনাকে লোকসানের মুখে এনে ফেলতে পারে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে তা লাভজনক হবে। কারণ ভারতের মতো দেশগুলির বার্ষিক বৃদ্ধির হার পশ্চিমের উন্নত দেশগুলির তুলনায় বেশি।
৪) খুব কমদামী শেয়ার কিনবেন না। অপরিচিত কমদামী শেয়ারগুলি দামে আকর্ষক হলেও সেগুলি দীর্ঘমেয়াদী ক্ষেত্রে লাভজনক হবে এমন নিশ্চয়তা নেই। কারণ অনভিজ্ঞ লোকেরাই কমদামী শেয়ার কেনার ফাদে পা বাড়ান।
৫) যথেষ্ট লাভ থাকলেও একসঙ্গে সব লাভ ঘরে তুলবেন না। ধাপে ধাপে এই কাজটি করুন। আপনি হয়ত দেখলেন আপনার ৫০ টাকার শেয়ার বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। আপনি বিক্রি করার পর হয়ত দেখলেন তা ২০০ থেকে ছাড়িয়ে ৩০০, ৪০০, ৫০০ হয়ে গেল। তখন আফশোসের শেষ থাকবে না। তাই আপনার শেয়ার দামে ডবল হয়ে গেলে অর্ধেক বিক্রি করে মূলধন ঘরে তুলে রাখতে পারেন। বাকি অর্ধেক পরবর্তী বৃদ্ধির জন্য রাখুন।